পাহাড় আমার ভীষণ প্রিয়। ব্যাস্ততা আর পড়াশোনার চাপে সেই ছোটো বেলার পরে আর যাওয়া হয়নি কখনও, কেবল স্বপ্নে হাতছানি দিয়ে ডাকতো আমাকে। দাদাভাই এর দৌলতে যখন হঠাৎ করে দার্জিলিং যাওয়ার কথা হলো আমাকে আর পায় কে। রাতারাতি টিকিট করে বেরিয়ে পড়া হলো রাত ১২:৫০ এর পদাতিক এক্সপ্রেসে। ট্রেনে উঠেই ট্রেনের দুলুনিতে ঘুম এসে গেলো। ঘুম ভাঙলো যখন তখন জলপাইগুড়িতে ট্রেন ঢুকবে ঢুকবে করছে৷ ৯.৩০ নাগাদ প্লাটফর্মে ট্রেন ঢুকলো। নেমে ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট করে আমরা রওনা দিলাম শেয়ার গাড়ির উদ্দেশ্যে। শেয়ার গাড়ি ছাড়তে ছাড়তে সময় গড়িয়ে বাজলো বেলা ১২টা।
দার্জিলিং যখন পৌঁছালাম তখন ঘড়ির কাঁটা প্রায় বিকেল ৫টা ছুঁই ছুঁই। আগের থেকে দাদার বুক করা হোমস্টে মানখিম এ গেলাম, ম্যালের পাশ দিয়ে আস্তাবলের রাস্তা পেরিয়ে মিনিট ৩-৪ এর হাটা পথ। হোমস্টে তে ঢুকে মালিক বিজয় রাই এর হাসি মুখে আমাদের স্বাগত করার প্রচেষ্টায় মন ভালো হয়ে গেলো।
তার আতিথেয়তাতে আমাদের ঘুরতে যাওয়া আরও সুন্দর হয়ে উঠেছিল। পরেরবার আবার গেলে ওইখানেই থাকার আসা রাখি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌছে সেইদিন সন্ধেটা ম্যালেই কাটালাম তারপর শুক্রবার দার্জিলিং ম্যালের গাড়ি স্ট্যান্ড থেকেই গাড়ি করে বাতাসিয়া লুপ, পিস প্যাগোডা, চিড়িয়াখানা, রোপোয়ে, তেঞ্জিং রক ঘোরা হলো। সাইডসিনে গেলাম এক্স আর্মি ভুপেন দাদার গাড়িতে তিনিও খুব ভালো মানুষ তার সাথে ঘুরেও খুব ভালো অভিজ্ঞতা হল। সব কিছু সুন্দর ভাবে ঘোরালো আমাদের। শুক্রবার ওই দাদার গাড়িতেই প্রথমে যাওয়া হলো লামাহাট্টা। অপুর্ব সুন্দর জায়গা। ৭৫০ মিটার ট্রেক করে পবিত্র নদি দেখলাম। সেইখান থেকে গেলাম ত্রিবেণী, তিস্তা নদীর ধারে ক্যাম্পিং আর লাভারস ভিউ পয়েন্ট। মন ভালো হওয়ার মত যায়গা আস্তে আর ইচ্ছাই করে না। তিস্তার তীরে ক্যাম্পিং করার ইচ্ছাটা পুরন হলো না। তারপর অরেঞ্জ গার্ডেন আর তিনচুলে হয়ে ফিরলাম হোমস্টেতে। তারপরের দিন বিকেলে শিলিগুড়ি থেকে বাস ছিলো। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পায়ে হেটে মহাকাল মন্দিলর টা ঘুরে ১টা নাগাদ শেয়ার গাড়ি চেপে শিলিগুড়ি আসা হলো।
Comments